ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা বিনোদ খান্না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বাইয়ের শ্রী এন এইচ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ৭০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় এই বলিউড তারকা।
চলতি মাসের শুরুতেই চরম পানিশূন্যতার কারণে এই একই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাকে। ওই সময় বিনোদ খান্নার অসুস্থ অবস্থার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। ‘অমর আকবর অ্যান্থনি’ খ্যাত এই অভিনেতার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর তখনই গণমাধ্যমের নজরে আসে।
বলিউড ক্যারিয়ারে ১০০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন বিনোদ খান্না। তার স্ত্রী কবিতা খান্না, ছেলে রাহুল, অক্ষয় ও সাক্ষী এবং মেয়ে শ্রদ্ধা খান্না। কবিতাকে বিয়ের আগে তিনি গীতাঞ্জলিকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের বিচ্ছেদ হয়।
সত্তর এবং আশির দশকের এই অভিনেতা নেতিবাচক এবং ছোট চরিত্র দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও ‘মেরে আপনে’, ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’, ‘ইমতিহান’, ‘ইনকার’, ‘অমর আকবর অ্যান্থনি’, ‘লহু কে দো রং’-এর মতো সিনেমা দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে আসেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ১৯৬৮ সালে মন কা মিত সিনেমার মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হয় তার।
১৯৮২ সালে সিনেমায় অভিনয়ে বিরতি দেন তিনি। পাঁচ বছর বিরতির পর তিনি আবারো সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন এবং ইনসাফ ও সত্যমেভ জয়তে দুটি জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন। সাম্প্রতিক কালে দাবাং, দাবাং-টু এবং দিলওয়ালে সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
মেরে আপনে, মেরা গাঁও মেরা দেশ, ইমতিহান, ইনকার, অমর আকবর অ্যান্থনি, লাহু কে দো রঙ, কুরবানি, দয়াবান সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বেশ জনপ্রিয় লাভ করেছিলেন। হাত কি সাফাই সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ১৯৯৯ সালে ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা এবং ২০০৭ সালে জি সিনে অ্যাওয়ার্ড আজীবন সম্মাননা লাভ করেন।
কেবল অভিনয়েই নয়, রাজনীতিতেও নিজের শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন বিনোদ খান্না। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র হয়ে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে নির্বাচিত সদস্য হিসেবে লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
[youtube https://www.youtube.com/watch?v=_0UgrYmwXgM]
আপনার মতামত লিখুন :