দলের নেতাকর্মীদের কাউয়া বা মুরগি অভিধা দিয়ে সমালোচনায় পড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব শব্দ আর না লিখতে সাংবাদিকদের করজোড়ে অনুরোধ করেছেন। জনসভায় এসে তিন-চার ঘণ্টা বসে থাকা নেতাকর্মীদের চাঙা করতে মজা করে এসব শব্দ ব্যবহার করেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
গত বছর অক্টোবরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর দল থেকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ তাড়ানোর ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের। এরপর বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অনুপ্রবেশকারীদের ‘হাইব্রিড’ আখ্যায়িত করেন তিনি। সম্প্রতি সিলেটে এক জনসভায় অনুপ্রবেশকারীদের ‘কাউয়া’ বলার পর তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা।
ওই কথার রেশ যেতে না যেতে গত সোমবার মেহেরপুরে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সিলেটে কাউয়া বলেছিলাম। এখানে কাউয়া বলব না। এখানে মনে হয় ফার্মের মুরগি ঢুকেছে।” এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ওবায়দুল কাদের কার্যত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ‘মুরগি’ বলেছেন দাবি করে ফেইসবুকে তার সমালোচনায় সরব হন অনেকে।
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার সন্ধ্যা ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসে সুর পাল্টান কাদের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “মেহেরপুরে আমি ২৭ মিনিট বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু সাংবাদিকরা তা না লিখে শেষের দিকের মুরগির বক্তব্যের কথা লিখেছেন। কাউয়া, ফার্মের মুরগি এগুলো মুখ্য বিষয় নয়, এটা গৌণ বিষয়। “আর আমি এগুলো মজা করে বলেছি। ৩-৪ ঘণ্টা নেতাকর্মীরা বসে থাকে তাদের রিফ্রেশমেন্টের দরকার আছে।”
সংবাদ সম্মেলন শেষে হাত জোড় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মাফ চাই, প্লিজ আপনারা আর কাউয়া-মুরগি লিখবেন না।”
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সাত্তার, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামসুর নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া বেগম, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ূয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :