পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্রে একটি ক্ষুদ্রতম জনপদের নাম ময়মনসিংহের গফরগাঁও। একাত্তুরের পাক হানাদার বাহিনীর হিংস্র থাবা থেকে রেহায় পাইনি এই এলাকার জনপদ। এজনপদে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল আকস্মিক জঙ্গী বিমান থেকে বোমা হামলা। দিকবেদিক মানুষের ছুটাছুটি। মুহুর্তে জ্বলে উঠেছিল আগুনের লেলিহান শিখা বয়ে ছিল রক্তের স্রোত । পোড়া লাশের গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। নিরস্ত্র মানুষের ক্রন্দন-আহাজারীতে এক বিভৎস পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যে যার মতো করে প্রাণপণ বাঁচার চেষ্টা করছে। কেউ কারো দিকে ফিরে তাকানোর ফুসরত নেই। অসংখ্য আহত মানুষের ক্ষত বিক্ষত লাশ পড়ে থাকে পথ-ঘাট, ঝোপ-জাড়, নদীর পাড়ে। আহত মানুষের বেঁচে থাকার আকুতি। নেই ডাক্তার, নেই চিকিৎসা, নেই হাসপাতাল সবাই ছুটছে বাঁচার তাগিদে। হিংস্রতার কাছে অসহায় মানুষ। সেই ক্ষত বিক্ষত লাশের মাঝে যাদের লাশ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক’জনের নাম- আঃ হাই, আঃ মজিদ, ছোবেদ আলী, মীর শামছুদ্দীন, মীর জিয়াউল হক, যমুনার মা, আঃ মতিন, গফুর আলী, ভুলু, ইছর আলী, আব্দুল বেপারী, আঃ জলিল। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরেও পাক জঙ্গী বিমানের হিংস্র আক্রমণের কথা আজও ভূলে নাই গফরগাঁওবাসী।
আপনার মতামত লিখুন :