মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা করলেন চার স্বজন


Sharif Khan প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১২, ২০১৭, ৫:০২ PM / ৪৯
মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা করলেন চার স্বজন

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির প্রহর গুনতে থাকা হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের সঙ্গে শেষ দেখা করেছেন স্বজনরা।

বুধবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে মুফতি হান্নানের স্ত্রী ও মেয়েসহ পরিবারের চার সদস্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারে হান্নানের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট সাক্ষাৎ শেষে তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে একটি ভ্যানে চড়ে তারা কারাগার এলাকা ত্যাগ করেন।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, হান্নানের সঙ্গে দেখা করতে তাদের স্বজনদের কাছে মঙ্গলবার বার্তা পাঠানো হলে আজ সকালে হান্নানের স্ত্রী জাকিয়া পারভিন রুমা বেগম, বড় ভাই আলী উজ্জামান মুন্সী, মেয়ে নাজনীন ও নিশি খানম কারাগারে আসেন। কারাগারের ভেতর পৌনে এক ঘণ্টার মতো অবস্থানের পর তারা বেরিয়ে আসেন।

মিজানুর রহমান বলেন, ফাঁসি কার্যকরের আগের সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় দুই আসামির পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে হান্নানের পরিবার আসলেও এখনো মুফতি হান্নানের সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের পরিবার দেখা করতে আসেনি। তবে আসামিদের সঙ্গে এটিই তাদের শেষ সাক্ষাৎ কিনা তিনি তা বলেননি।

হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান

এদিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর হান্নানের ভাই আলীমুজ্জামান বলেন, ‘মুফতি হান্নান তাদের কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং তার দুই মেয়ের দেখভাল করতে বলেছেন।’

এর আগে সোমবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নাকোচ করা মুফতি হান্নান ও বিপুলের প্রাণভিক্ষার চিঠি কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে বিপুল ও মুফতি হান্নানকে তা পড়ে শোনানো হয়।আইন অনুযায়ী তাদের ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।

২০০৪ সালে শাহজালাল (রা.) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নান এবং তার দুই সহযোগীর ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। গত ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে দণ্ড বহাল রাখে। পরে অপরাধের দায় স্বীকার করে মুফতি হান্নান ও তার দুই সহযোগী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি তা নাকোচ করে দেন। এর ফলে তাদের ফাঁসি কার্যকরে সব বাধা দূর হয়ে যায়। আইন অনুযায়ী যেকোনো সময় তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।