পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কানাডার আদালতে নাকচ হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। গএকটা প্রসঙ্গ এসেছে, এডিবি’র (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) একটি স্টাডি হচ্ছে- পদ্মা সেতু হলে বাংলাদেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। এখন তো আমাদের ৭ দশমিক ২ শতাংশ, সেই হিসেবে তো আমাদের ৭ দশমিক ১ শতাংশের আশেপাশেই থাকে। যদি পদ্মা সেতু আরো আগে হতো তাহলে আমাদের প্রতি বছর ১ দশমিক ২ হিসেবে ৮ থেকে ৯ শতাংশ গ্রোথ হতো। এ গ্রোথটা আমাদের কমে গেছে।
গতকাল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অভিনন্দন জানানো হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সরকারের অবস্থান ছিল পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, যদি তারা দুর্নীতির কথা বলে সেটা তাদের প্রমাণ করতে হবে। তারা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। এ জন্য মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছে। বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে শফিউল আলম বলেন, না না, আলোচনায় শুধু আমাদের অবস্থানই তুলে ধরা হয়েছে। তবে
শফিউল আলম বলেন, এতদিনে ব্রিজটা আমরা বাস্তবে পেয়ে যেতাম, স্ক্যান্ডালের কারণে আমাদের এ উন্নয়নটা অনেক পিছিয়ে গেছে। এ আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা তার চ্যালেঞ্জ ছিল, পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক যখন অভিযোগ করেছে। তাদেরই প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা দুর্নীতি করেছি। আমরা প্রমাণ করেছি আমরা কোনো দুর্নীতি করিনি- এটাই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মূল বক্তব্য।
আপনার মতামত লিখুন :