এবার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ৫ দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কুয়েত। দেশগুলো হলো সিরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান। ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসব দেশের কোনো নাগরিককে নতুন করে ভিসা দেয়া হবে না। বার্তা সংস্থা আইএএনএস’কে উদ্ধৃত করে গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য ইকোনমিক টাইমস।
ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা নির্বাহী আদেশ অনুসারে, বিশ্বজুড়ে থাকা শরণার্থীদের আগামী ১২০ দিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে যেসব দেশে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে সেসব দেশ থেকে সবধরনের অভিবাসন ৯০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেগুলো হচ্ছে ইরাক, সিরিয়া, ইরান, সুদান, লিবিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেন। কুয়েতই একমাত্র দেশ যেটি ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারি হওয়ার আগে সিরিয়ার নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ২০১১ সালে সিরিয়ার সব শ্রেণির নাগরিককে ভিসা ইস্যুকরণ স্থগিত করার নির্দেশ জারি করে।
২০১৫ সালে জঙ্গিদের একটি দল কুয়েতের একটি শিয়া মসজিদে বোমা হামলা চালালে ২৭ জন নাগরিক প্রাণ হারান। এক্সপাট ইনসাইডারের ২০১৬ সালে করা একটি জরিপে, কুয়েতকে প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে খারাপ দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। জরিপের এ ফলাফলের পেছনে মূল কারন ছিল দেশটির কঠোর সাংস্কৃতিক আইন।
পাঁচটি দেশ থেকে নতুন করে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভিসা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। সরকারের আশঙ্কা, এসব দেশ থেকে অভিবাসীদের সঙ্গে ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীদের আগমন ঘটতে পারে কুয়েতে। স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ভিসা নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করার পর কুয়েত সরকার থেকে এই নির্দেশনা এসেছে।
গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্য থাকার কারণে জিসিসি ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যে জড়িয়ে পড়ছে কুয়েত। কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসের এক ব্রিফিং অনুযায়ী ১৯৯০-এর শুরুর দিক থেকেই ওয়াশিংটন জিসিসির নিরাপত্তার জামিনদার হিসেবে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :