আলমগীর হোসেন। তবলা বাদক, ড্রামার এবং অকটোপ্যাড প্লেয়ার। বর্তমান সময়ের ব্যস্ত মিউজিশিয়ানদের মধ্যে অন্যতম। ক্লোজআপ ওয়ান, সেরাকন্ঠ, পাওয়ার ভয়েস খ্যাত শিল্পীদের থেকে শুরু করে সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লান পর্যন্ত সবার সাথেই রেকর্ডিং, লাইভ, স্টেজ, টিভি, প্লেব্যাকে সমানতালে বাজিয়ে যাচ্ছেন।
দেশীয় শিল্পীদের সঙ্গে বিশ্বের অনেক দেশে গিয়ে বাজানো অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। জয়পুরহাটের এই তরুন কিশোর বেলায়ই স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন সুর আর তাল-লয়ে। হাইস্কুলে পড়ার সময় বিটিভির খাদ্য পুষ্টি বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রচারনামূলক গানে নিয়মিত অংশ নিয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যাত্রা। প্রখ্যাত টিভি ব্যক্তিত্ব আলী ইমামের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রচারনামূলক অনুষ্ঠান সমূহে সংযোজিত নতুন গানগুলোর প্রায় পুরোটা জুড়েই শ্রম দিতে হতো তাকে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী এবং প্রথিতযশা লোকসংগীত শিল্পীদের কাছে ক্রমশই প্রিয় হয়ে উঠে এই কিশোরের তবলা বাদন। ষ্টেজ শোতেও ডাক পেতে থাকেন। ২০০০ সালে কি-বোর্ডিস্ট সোহেল, গিটারিস্ট সেলিমসহ কয়েকজন বন্ধু মিউজিশিয়ানকে নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘ধুমকেতু’। এক সময় তবলা থেকে ড্রামারে পরিণত হন আলমগীর। তবলার মতো ড্রামার হিসাবেও তাঁর সুনাম ছড়াতে থাকে। বিশেষ করে ব্যান্ড ঘরানার ষ্টেজ পাফর্মারদের প্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
মোঃ আবদুল জব্বার, সৈয়দ আবদুল হাদী, মোঃ খুরশীদ আলম, সুবীর নন্দী, শাম্মী আখতার, সাবিনা ইয়াসমীন, রুনা লায়লাসহ লিজন্ড শিল্পীদের স্নেহভাজন এবং পছন্দের বিট ক্রিয়েটর শিল্পী হয়ে উঠেন আলমগীর।
টিভি চ্যানেলগুলোর গানের লাইভ শো’গুলোতে রিদমিক মিউজিশিয়ান হিসাবে প্রায় অপরিহার্য হয়ে উঠলেন তিনি। সমসাময়িক শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দারুণ। সামিনা চৌধুরী, আঁখি আলমগীর, রিজিয়া পারভীন, পলাশ, রাজিব, কর্ণিয়া, কনা, কোনাল কার গান বাজান না আলমগীর? গানে গানে আরো বহুদূর যাওয়ার স্বপ্ন তাঁর।
আপনার মতামত লিখুন :